পয়েন্ট একই হলেও ৮ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের চাইতে সুবিধাজনক স্থানে থেকেই রোববার লিগের শেষ রাউন্ডের খেলায় কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সের (কিউপিআর) বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলো ম্যানচেস্টার সিটি। ১৯৬৮ সালের পর আবারো ইংল্যান্ডের প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা ঘরে তোলার জন্য তাদের প্রয়োজন ছিলো শুধু জয়ের।
কারণ সান্ডারল্যান্ডের বিপক্ষে জিতলেও ম্যান ইউর পক্ষে আট গোলের ব্যবধান কাটিয়ে ওঠা এক কথায় অসম্ভবই ছিলো।
নিজেদের দর্শকদের সামনে খুব বেশি প্রাধান্য বিস্তার করে খেলতে না পারলেও এগিয়ে ছিলো ম্যান সিটিই। ৬ মিনিটে গোলপোস্ট লক্ষ্য করে প্রথম শট নেন ইয়াইয়া তোরে।
ধীরে ধীরে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে আক্রমণে উঠতে থাকে কিউপিআরও।
৩১ মিনিটে কার্লোস তেভেজের শট গোলপোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়। ম্যান সিটির উপর চাপ বাড়তে থাকে। সিলভা ও তোরে গোলপোস্ট লক্ষ্য করে আরো কিছু শট নিলেও লক্ষ্যভেদ করতে ব্যর্থ হয়।
৩৯ মিনিটে ইতিহাদ স্টেডিয়ামের নীল ঢেউ গর্জে ওঠে। কারণ তোরের কাছ থেকে পাওয়া বল পাবলো জাবালেতা দারুণ দক্ষতায় জড়িয়ে দিয়েছেন জালে। ১-০ গোলে এগিয়ে গিয়ে তখন শিরোপা দেখতে পাচ্ছে ম্যান সিটি।
৪৪ মিনিটে অ্যাগুয়েরোর একটি প্রচেষ্টা ঝাপিয়ে পড়ে ব্যর্থ করে দেন কিউপিআর গোলরক্ষক কেনি। উরুর চোটের কারণে ৪৫ মিনিটে মাঠ ছাড়েন তোরে। তার বদলে মাঠে নামেন নাইজেল ডি জং। ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা।
বিরতি থেকে ফেরা সিটির আরো দুইটি চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন কেনি। তবে ৪৮ মিনিটে জোলেয়ন লেসকটের ভুলে বল পেয়ে যান কিউপিআর স্ট্রাইকার জিব্রাইল সিসে। ঠান্ডা মাথায় সিটি গোলরক্ষক জো হার্টকে কাটিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। ম্যাচে সমতা ফেরে।
৫৪ মিনিটে তেভেজকে ফাউল করায় সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়ে যেতে হয় কিউপিআর অধিনায়ক জোয়ি বার্টোনকে।
দশজনের কিউপিআরকে চেপে ধরে ম্যান সিটি। কিন্তু কেনি বাধা কিছুতেই পেরোতে পারছিলো না তারা।
উল্টো ৬৬ মিনিটে জেমি ম্যাককির হেডে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় কিউপিআর। স্বপ্ন ভঙ্গের আশঙ্কা তখন পেয়ে বসেছে ম্যান সিটিকে।
দ্রুত সময় বয়ে যাচ্ছে। গোলের জন্য মরিয়া ম্যান সিটি। কিন্তু সফল হতে পারছে না। মরিয়া কোচ রবার্তো মানচিনিও। অতীতের বিবাদ ভুলে ৭৬ মিনিটে তেভেজকে তুলে বিতর্কিত স্ট্রাইকার মারিও বালোতেল্লিকে মাঠে নামান মানচিনি।
এতে ম্যান সিটির আক্রমণের ধার বাড়লেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছিলো না। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষ। ২-১ গোলে পিছিয়ে ম্যান সিটি।
ইনজুরি সময়ের প্রথম মিনিটে কর্নার পায় ম্যান সিটি। ফ্র্যাঙ্কের কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে চমৎকার ভাবে হেড করেন বালোতেল্লি। তবে ঘুষি মেরে ওই বল ফিরিয়ে দেন কেনি। জটলার মধ্যে বল পেয়ে যান জেকো। এবং গোল!
ফিরে আসে ম্যাচের উত্তেজনা। দুই মিনিট পর অ্যাগুয়েরোর জয় সূচক গোল!
ওয়েন রুনির একমাত্র গোলে সান্ডারল্যান্ডকে হারায় ম্যান ইউ। তবে শিরোপা ধরে রাখার জন্য এই জয় যথেষ্ঠ ছিলো না।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন