ঢাকা, এপ্রিল ০৫ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা
ফেরাতে হলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের পূর্ণাঙ্গ
বাস্তবায়ন জরুরি বলে মনে করেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সভাপতি রকিবুর
রহমান।
তিনি মনে করেন, পরিচালকদের ন্যুনতম শেয়ার কেনার বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া ঠিক হবে না। আর কোনো কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম ধরা পড়লে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়া পুঁজিবাজারের স্বার্থে তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা, পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে বলেও তিনি মনে করেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এক সাক্ষাৎকারে ডিএসই সভাপতি বলেন, “পুঁজিবাজারে ক্রমাগত দরপতনের মুখে প্রধানমন্ত্রী বাজার সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠক করার পর এসইসি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। আমি মনে করি, বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য সঠিক সময়ে সঠিকভাবে ওই প্যাকেজের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা দরকার।”
টানা দরপতনের কারণে বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে আসলে গত বছরের ১৬ নভেম্বর বাজারসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর ২৩ নভেম্বর এসইসি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। ওই প্রণোদনায় ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সুদ মওকুফ ছাড়া ব্যাংক ও বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন সুবিধা রাখা হয়। এছাড়া উদ্যোক্তা পরিচালকদের ন্যুনতম শেয়ার ধারণের বিষয়টিও প্যাকেজে অন্তর্ভূক্ত করা হয়।
রকিবুর রহমান বলেন, “পুঁজিবাজার কোনো একক ব্যক্তি বা সংস্থার পক্ষে স্থিতিশীল করা সম্ভব নয়। সবন্বিতভাবে সবাইকেই একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তবে কোম্পানির উদ্যোক্তা, পরিচালকদের দায়িত্ব অনেক বেশি। কারণ উদ্যোক্তা, পরিচালকরা যদি কোম্পানির অগ্রগতি যদি ভালো করতে পারেন তাহলে তার প্রভাব পুঁজিবাজারেও পড়বে।”
“কিন্তু আমাদের দেশে দেখা যায়, উদ্যোক্তা, পরিচালকরা পুঁজিবাজার থেকে টাকা তুলতে চাইলে আর্থিক প্রতিবেদন এক রকম আসে, আর টাকা তোলা হয়ে গেছে আরেকরকম আসে। এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে,” যোগ করেন রকিবুর।
উদ্যোক্তা, পরিচালকদের ন্যুনতম শেয়ার কেনার বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না বলে মনে করেন ডিএসই সভাপতি। এর পাশাপাশি পরিচালকদের শেয়ার বিক্রির বিষয়ে নতুন একটি নীতিমালা চালু করারও সুপারিশ করেছেন তিনি।
রকিবুর রহমান বলেন, “বাজারে স্বার্থে উদ্যোক্তা, পরিচালকদের পাবলিক মার্কেটে শেয়ার বিক্রি বন্ধ করে শুধু ব্লক মার্কেটে অথবা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে তাদের শেয়ার বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে।”
এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানির একীভূতকরণের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বাড়াতে হবে বলে দাবি করেন তিনি।
“একাধিক কোম্পানি একীভূত করতে হলে তাদের আয়ের ভারসাম্য থাকতে হবে। একটি কোম্পানি থেকে আরেকটির আয় কম অথবা বেশি হবে। দুটি কোম্পানির শেয়ারের মূল্য এক হতে পারে না। নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে এ বিষয়টি নজরে আনতে হবে।”
বাজারের স্থিতিশীলতার বিষয়ে ডিএসই সভাপতি বলেন, বিনিয়োগকারীরা ‘পরিপক্ক’ আচরণ করলে, নজরদারি বাড়ানোর জন্য উন্নত প্রযুক্তি আনা হলে এবং গুজব নির্ভর বিনিয়োগ কমলে বাজারে স্থিতিশীলতা আসবে।
পুঁজিবাজার সরকারের অর্থ সংগ্রহের একটি উৎস হতে পারে বলে মনে করেন রকিবুর রহমান। এজন্য সরকারী প্রতিষ্ঠানের শেয়ার সরবরাহ বাড়াতে হবে বলেও মনে করেন তিনি।
তিনি মনে করেন, পরিচালকদের ন্যুনতম শেয়ার কেনার বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া ঠিক হবে না। আর কোনো কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম ধরা পড়লে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়া পুঁজিবাজারের স্বার্থে তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা, পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে বলেও তিনি মনে করেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এক সাক্ষাৎকারে ডিএসই সভাপতি বলেন, “পুঁজিবাজারে ক্রমাগত দরপতনের মুখে প্রধানমন্ত্রী বাজার সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠক করার পর এসইসি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। আমি মনে করি, বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য সঠিক সময়ে সঠিকভাবে ওই প্যাকেজের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা দরকার।”
টানা দরপতনের কারণে বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে আসলে গত বছরের ১৬ নভেম্বর বাজারসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর ২৩ নভেম্বর এসইসি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। ওই প্রণোদনায় ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সুদ মওকুফ ছাড়া ব্যাংক ও বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন সুবিধা রাখা হয়। এছাড়া উদ্যোক্তা পরিচালকদের ন্যুনতম শেয়ার ধারণের বিষয়টিও প্যাকেজে অন্তর্ভূক্ত করা হয়।
রকিবুর রহমান বলেন, “পুঁজিবাজার কোনো একক ব্যক্তি বা সংস্থার পক্ষে স্থিতিশীল করা সম্ভব নয়। সবন্বিতভাবে সবাইকেই একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তবে কোম্পানির উদ্যোক্তা, পরিচালকদের দায়িত্ব অনেক বেশি। কারণ উদ্যোক্তা, পরিচালকরা যদি কোম্পানির অগ্রগতি যদি ভালো করতে পারেন তাহলে তার প্রভাব পুঁজিবাজারেও পড়বে।”
“কিন্তু আমাদের দেশে দেখা যায়, উদ্যোক্তা, পরিচালকরা পুঁজিবাজার থেকে টাকা তুলতে চাইলে আর্থিক প্রতিবেদন এক রকম আসে, আর টাকা তোলা হয়ে গেছে আরেকরকম আসে। এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে,” যোগ করেন রকিবুর।
উদ্যোক্তা, পরিচালকদের ন্যুনতম শেয়ার কেনার বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না বলে মনে করেন ডিএসই সভাপতি। এর পাশাপাশি পরিচালকদের শেয়ার বিক্রির বিষয়ে নতুন একটি নীতিমালা চালু করারও সুপারিশ করেছেন তিনি।
রকিবুর রহমান বলেন, “বাজারে স্বার্থে উদ্যোক্তা, পরিচালকদের পাবলিক মার্কেটে শেয়ার বিক্রি বন্ধ করে শুধু ব্লক মার্কেটে অথবা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে তাদের শেয়ার বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে।”
এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানির একীভূতকরণের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বাড়াতে হবে বলে দাবি করেন তিনি।
“একাধিক কোম্পানি একীভূত করতে হলে তাদের আয়ের ভারসাম্য থাকতে হবে। একটি কোম্পানি থেকে আরেকটির আয় কম অথবা বেশি হবে। দুটি কোম্পানির শেয়ারের মূল্য এক হতে পারে না। নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে এ বিষয়টি নজরে আনতে হবে।”
বাজারের স্থিতিশীলতার বিষয়ে ডিএসই সভাপতি বলেন, বিনিয়োগকারীরা ‘পরিপক্ক’ আচরণ করলে, নজরদারি বাড়ানোর জন্য উন্নত প্রযুক্তি আনা হলে এবং গুজব নির্ভর বিনিয়োগ কমলে বাজারে স্থিতিশীলতা আসবে।
পুঁজিবাজার সরকারের অর্থ সংগ্রহের একটি উৎস হতে পারে বলে মনে করেন রকিবুর রহমান। এজন্য সরকারী প্রতিষ্ঠানের শেয়ার সরবরাহ বাড়াতে হবে বলেও মনে করেন তিনি।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন